প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। '
শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
* ১৫ দফা দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনে সকল দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। রেডিও টেলিভিশনসহ সকল সরকারী-বেসরকারী গণমাধ্যম সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সংবিধান থেকে ইসলাম নামের পরিবর্তন করবে, ইসলামের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাবে, আর আমরা বসে বসে দেখব- তা কোনদিন হবে না।
* তিনি আরও বলেন, যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই জনগণের অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি দেশে এক ধরণের দুর্ভিক্ষের জন্ম দিয়েছে। যে কোনো মূল্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। দেশে মাদকসহ সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণ রাস্ট্র গঠন করতে হবে।
সমাবেশে মদের বিধিমালা বাতিল, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন বন্ধসহ ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি।
' দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল কবির আকরাম সহ দলের কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় নেতারা। '
/ সংসদ ভেঙে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে /
এর আগে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা এবং নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
' মাবেশের নিরাপত্তা এবং সমাবেশ উপলক্ষে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানের আশাপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন ছিলো বিপুল সংখ্যক পুলিশ।'